শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের পীরগঞ্জে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, অর্থ বাণিজ্য সুপারের মনগড়া ম্যানেজিং কমিটিসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের মন্ডলের বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি এবং এক সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী ও শিকরা। মন্ডলের বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে সাদেকুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে সুপারের গ্রামের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা হওয়ায় মাদ্রাসা এলাকার অভিভাবকদের বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত পকেট কমিটি গঠন করে এসব অর্থ বাণিজ্য এবং অনিয়ম করে যাচ্ছেন স্থানীয় এক সদস্য মাসুদ মিয়াকে নিয়ে। এদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও মাদ্রাসার সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও মাদ্রাসার সদস্য কাশিমপুর গ্রামের আ: ওয়াহাব মিয়া পুত্র মাসুদ মিয়া সুপারের যোগসাজসে এ সব অনিয়ম করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও শিকরা মুখ খুললে চাকুরী খাওয়ার হুমকি, বিল ভাতা বন্ধসহ নানা ধরণের হুমকি প্রদান করেন। অপরদিকে মাদ্রাসার ১৫ শতাংশ জমির লীজ বাবদ প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা, মাদ্রাসার ৩টি রেইট্রি গাছ যার আনুমানিক মূল্য ৮৭ হাজার টাকা, মেহগুনি গাছ আনুমানিক মূল্য ১ ল ৭০ হাজার টাকা উক্ত প্রতিষ্ঠানের শুন্যপদে শিক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় নিয়োগ দিয়েছেন সহ-সুপার পদে রানু মিয়া, সমাজ বিজ্ঞান পদে মাহমুদা বেগম, আরবী শিক পদে শামছুন্নাহার, বাংলায় সুমি রানী, আয়া নাছিমা বেগম, নিরাপত্তা প্রহরী পদে রুমনসহ এদের নিকট থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুপার ও সভাপতি। এদিকে আবারও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালা ২০১৮ খ্রি: সর্বশেষ বিধি অনুযায়ী সহকারী গ্রন্থাগারিক শিক নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করে আসছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার সাদেকুল ইসলাম জানান, নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মমিন মন্ডল জানান বিষয়টি জেনেছি, লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিবো।