শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্বিক তত্ত¡াবধানে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটির চার লেনে নির্মান কাজ চলছে। সড়কটির পলাশবাড়ী থেকে বড়দরগাহ পর্যন্ত নির্মাণ কাজে বিড়ম্বনায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নানান জটিলতার কারণে অধিগ্রহনকৃত জমির সিংহভাগ মালিক দীর্ঘ ১ বছরেও তাদের প্রাপ্য টাকা বুঝে না পাওয়ায় তাদের অধিগ্রহনকৃত জমির সীমানায় কাজ করতে বাঁধা প্রদান করায় ওই বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সড়কটির ডচ-১১ প্যাকেজ -এ ‘পলাশবাড়ী থেকে বড়দরগাহ’ পর্যন্ত ২৭ কি: মি: সড়ক চার লেন নির্মাণে কর্তৃপক্ষ ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছে ৫’শ ২৫ কোটি টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না কন্সট্রাকশন সেভ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন লি:’ সড়কটির বর্ণিত ২৭ কি:মিটার ৪ লেনে উন্নীত করণের কাজ করছে। কার্যাদেশ প্রাপ্ত বর্ণিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৯ মার্চ সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ওই সময়ে বন্যা ও করোনা (কোভিড-১৯)’র কারণে দীর্ঘ ৫/৬ মাস কাজটি বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় শুরু করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে ডচ-১১ প্যাকেজ -এর ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৬ কি: মিটার এলাকার জমি অধিগ্রহনের টাকা প্রায় ১ বছর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পরিশোধ করা হয়েছে। অপরদিকে, সড়কের দু’পাশে তড়িঘড়ি করে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরী, জমির মূল্য নির্ধারন ও মালিকানার সঠিক কাগজ পত্রসহ নানা বিষয়ে জটিলতার কারনে এখনও সিংহভাগ জমির মালিক তাদের প্রাপ্য পাওনা টাকা পায়নি। ফলে সড়কটির নির্মান কাজে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আফিড হোসাইন জানান, পলাশবাড়ীতে ৬’শ কি: মি: পীরগঞ্জে ৫’শ মিটার স্পেশাল ফাইওভার এবং ধাপেরহাটে ৬’শ মিটার, লালদিঘীতে ৪’শ মিটার আন্ডারপাস নির্মাণ করা ছাড়াও বর্ণিত সড়কটির পলাশবাড়ী বিটিসি মোড়, ধাপেরহাট, মাদারহাট, পীরগঞ্জ ও লালদিঘীতে সিসি ঢালাই দিয়ে এসব সড়কের নির্মান কাজ করা হবে । ভুক্তভোগী মালিকগণ জানায়, বিগত ৩ বছর ধরে সরকার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের ল্েয ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জমির মালিকগণ তাদের জমির উপর স্থাপিত দোকান-ঘরের ভাড়া পাচ্ছে না। অন্যদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান সাংবাদিকদের জানান, ভিডিও কিপস এবং ভূমি অফিসের জরিপের মাধ্যমে যে রিপোর্ট পেয়েছি সে অনুযায়ী জমির মালিকেরা টাকা পাবেন। নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তারা কোন প্রকার ক্ষতি পূরণ পাবে না।