রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন
(পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি) চিরস্থায়ী আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য ও জমি উদ্ধারের জন্য কোর্টের আদেশ পেয়েও বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন মন্ডল ক্রয়কৃত জমি উদ্ধার করতে পারছেন না। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগের বিবরণে বে-দখল হওয়া ২ একর ৯৬ শতক জমি উপজেলা প্রশাসন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উদ্ধার করে দিলেও দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন না তিনি। বর্ণিত সম্পত্তি গায়ের জোরে জবর দখল ও মাসকালাই চাষাবাদ করে আসছেন ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন। এদিকে গত ২১ সেপ্টেম্বর কে বা কাহারা মাসকালাই ফসলী জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ঝলসে দিয়েছে। নিজের ভাইকে ফাঁসাতে তিনি এ কাজটি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মৌজা গোপীনাথপুর, জেএল নং- ৩৪, খতিয়ান নং- ৪৮৬, দাগ নং- ০৬, জমির পরিমাণ- ১ একর ৫ শতক, দাগ নং- ৩৭, জমির পরিমাণ- ৫০ শতক, দাগ নং- ৬৬, জমির পরিমাণ- ১০ শতক, দাগ নং- ৬৪, জমি পরিমাণ- ৫৭ শতক, দাগ নং- ৬৯, জমির পরিমাণ- ১৫, মোট জমির পরিমাণ- ২.৩৭ একর। দীর্ঘদিন ধরে গোলজার হোসেনের সাথে তার ভাই আফজাল হোসেন এবং ভাতিজাদের সাথে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। নিরুপায় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা তার জমি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দারে দারে ঘোরার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর স্বরনাপন্ন হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ প্রদান করেন। অপরদিকে সহকারী কমিশনার ভূমি যাচাই বাছাই করে ৩০/১০/২০১৯ সালে থানা প্রশাসনের সহযোগীতায় তফশিল বর্ণিত জমিতে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ঢোল শহরত করিয়া লাল নিশান পতাকা স্থাপন করে গোলজার হোসেনকে বর্ণিত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। প্রতিপক্ষ আফজাল হোসেন গং রা গত ০২/১০/২০১৯ ইং তারিখে রাতের আধারে উক্ত লাল নিশান পতাক উপড়াইয়া ফেলিয়া দেন গায়ের জোড়ে জমি চাষাবাদ করেন। তিনি উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত: আকবার আলীর পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন মন্ডলকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার ভাই আফজাল গং এবং, ভাতিজারাসহ মামলা দেন। অন্যদিকে গোলজার হোসেন মন্ডল রংপুর কোর্টে মামলা করেন। যার মামলা নং- ৩০৫/৮৪, চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদেশ দেন ২৪/০৪/১৯৯৫ইং সালে। আদেশ পাওয়ার পরেও দীর্ঘ ২৭ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি উক্ত জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। অপর দিকে আজিজার রহমান বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নং- ৬৬/৯৫। ভাতিজা নুরুন্নবী মিয়া পিআর ১১০/১৭ জালিয়াতি ও জাল দলিলের উপর মামলা করেও পিপিই ও সিআইডির উপর তদন্ত দেন। উক্ত মামলার কাগজপত্র গোলজার হোসেনের পক্ষে থাকায় ১৫/১২/২০২০ সালে খারিজ করে দেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন বলেন স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এ অবস্থা হতে পারে না। আপন ভাই ভাতিজারা আমার জমি জবর দখল করে খাচ্ছে। বেদখলীয় সম্পত্তি গুলো উদ্ধার করার পরেও আমি দখলে নিতে পারছি না। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানান ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে তবে তাদের দুই ভাইয়ের বিরোধ দীর্ঘদিনের।