বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের পীরগঞ্জে ৫ সন্তানের জননী এক বিধবা গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন। পুলিশ গণধর্ষনের অভিযোগে সোহেল খাঁন (২৮) নামের ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ষিতা ওই বিধবাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিরাম সাহাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিরাম সাহাপুরের দুলালী বেগমের স্বামী তাজুল মিয়া ওরফে তাজু খাঁন প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেলে তিনি বিধবা হন। ওই বিধবা ৪ মেয়ে ১ ছেলে সন্তানের জননী। বিধবা ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে থাকতেন। প্রায় বছরখানেক আগে তিনি হরিরাম সাহাপুরে স্বামীর বাড়ীতে ফিরে এসে একটি মাত্র কুড়েঘরে বসবাস করেন। গত ২৯ জুন রাতে একই গ্রামের ২ বন্ধু স্থানীয় প্রভাবশালী শামছুল খাঁনের ছেলে সোহেল খাঁন (২৮) এবং মজিবর রহমানের ছেলে মনু খান (২৯) ওই বিধবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে। পরে তারা বিধবার হাত, মুখ বেঁধে রাতভর ধর্ষন করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লাগে। একপর্যায়ে ওই বিধবা সোমবার দিবাগত রাতে ২ জনকে (সোহেল ও মনু) আসামী করে থানায় গণধর্ষনের মামলা করলে পুলিশ ধর্ষনের অভিযোগে সোহেল খানকে রাতেই গ্রেফতার করে। অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ধর্ষনের শিকার বিধবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মাহবুবর রহমান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় মামলাটি হওয়ার পরই প্রধান আসামী সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী মনু খানকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বিধবা তার বাড়ীতে আছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পীরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মাহবুবার রহমান মাহবুব জানান ১ জনকে গ্রেফতার করে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বাকী ১ জনকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।