রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
আলোর সংবাদ ডেক্স: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, মৎস্য খাত বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত, কেননা বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং এদেশে অনেক প্রাকৃতিক নদনদী ও জলাশয় রয়েছে। দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। এজন্য যুব সমাজকে মৎস্য উৎপাদনে উৎসাহিত ও সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রতিবছর মৎস্য সপ্তাহ পালন মৎস্য সম্পদের সংরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং জাতীয় মৎস্য পদক মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাঙালি জাতির কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত মৎস্যসম্পদ রায় ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ ¯েøাগানকে স্বার্থক করে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান স্পীকার। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ‘সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পীকার এসব কথা বলেন। এর পূর্বে স্পীকার ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ এর শুভ উদ্বোধন করেন এবং স্পীকারের পে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি জাতীয় মৎস্য পদক ২০২১ প্রদান করেন। পরে স্পীকার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১ উপলে জাতীয় সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, পার্লামেন্ট মেম্বার্স কাবের সাধারণ সম্পাদক এ.বি. তাজুল ইসলাম এমপি, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। সংসদ ভবন লেকে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, মহাশোল, সুবর্ণ রুই, পাবদা, গুলশা, গলদা চিংড়ির মোট ৯৮৩৫টি পোনা অবমুক্ত করা হয়। স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন । জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের অবদান ১৯৭২ সালে জাতির পিতা অনুভব করেছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ সূচনা করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য উৎপাদনকে বিশেষভাবে উৎসাহিত এবং জনগণের পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য মৎস্যখাতকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার কাজ করছেন, যার সুফল জনগণ ভোগ করছে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে পরিপূরক। খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। অনেকেই প্রত্য-পরোভাবে মৎস্য খাতের সাথে সংযুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে, ফলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে। মা ইলিশ রা, জাটকা নিধন রোধ, নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা এবং মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২০ প্রণয়ন করেছে। অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ল্েয ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাব আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। জাতীয়ভাবে রেসিডিউ কন্ট্রোল প্লেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।