alorsangbad com
- ৪ নভেম্বর, ২০২০ / ১১৮ বার পঠিত
মহাশূণ্য অথবা মহাকাশ বলতে সাধারণভাবে মাথার উপরকার অনন্ত আকাশ বোঝানো হলেও বস্তুত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলসমৃদ্ধ আকাশকে পৃথিবীর আকাশ বলা হয়। তাই পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে মহাকাশ হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের অনন্ত স্থান। মাহাকাশ একবার ঘুরে আসলে আপনি দু’ইঞ্চি লম্বা হয়ে যাবেন। আর মহাকাশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ছোট-বড় সকলেরই রয়েছে। জেনে নিন মহাকাশ সম্পর্কে ১০ টি অজানা তথ্য।
- ১. মহাকাশ সম্পূর্ণ নিঃশব্দ। তার কারণ মহাকাশে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। কাজেই শব্দ গমনের কোনও মাধ্যমও নেই।
- ২. মহাকাশে একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিতলের তাপমাত্রা মাত্র ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারাটির নাম WISE 1828+2650. এটি পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ৫৭৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- ৩. সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯ শতাংশই দখল করে রেখেছে সূর্য।
- ৪. শনির বৃহত্তম উপগ্রহ স্যাটার্নে মানুষ তার হাতের দু’পাশে দু’টো ডানার মতো পাতলা চামড়া লাগিয়ে অনায়াসেই উড়ে বেড়াতে পারে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সেখানে অত্যধিক আর মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম। অবশ্য এই কাণ্ডটি কেবল তত্ত্বগতভাবেই সম্ভব।
- ৫. মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, ফলে সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই কাণ্ডটি ঘটবারও সুযোগ নেই।
- ৬. চাঁদের মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছর রয়ে যাবে সেখানে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল বা জল নেই, ফলে সেই চিহ্ন মুছে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই কোনও।
- ৭. বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মহাকাশে একটা বিপুল জলাধার রয়েছে। কতটা বিপুল? পৃথিবীর সমস্ত সাগরে যতটা জল রয়েছে তার ১ কোটি ৪০ লক্ষ কোটি গুণ বেশি জল রয়েছে সেখানে।
- ৮. একবার একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটান। তার ফলে যে ৩৩টি আরশোলা জন্ম নেয় তারা নাকি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আরশোলাদের থেকে বেশি শক্তিশালী, দ্রুত, এবং সক্ষম ছিল।
- ৯. মহাকাশ সফরের পরে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দু’ইঞ্চি করে বেড়ে যায়।
- ১০. প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।