বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
সৈয়দ রায়হান বিপ্লব পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ বাংলাদেশে এখন চলছে করোনা পিক আওয়ার। প্রায় প্রতিদিনেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্ত করে বিভিন্ন সেক্টরে সামান্য শিথিলতা আনলেও কোমল-মতি শিার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে সরকার এখনও কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই চার দফায় প্রতিষ্ঠানগুলির ছুটি বর্ধিত করা হয়। সর্বশেষ আগামীকালের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৬ আগস্ট ২০২০ খ্রী: পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে শিার্থীদের কথা বিবেচনায় এনে ঝোরারঘাট শাহ্ ছালেক দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সুপার আলহাজ্ব আলীরেজা সরকারের পুত্র সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল সরকার এবং সুপার আঃ মোতালেব হোসেন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টসহ সকল শিক কে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের খোজ খবর নেওয়া এবং নগদ অর্থ বিতরণের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান। তার এই আহবানে সাড়া দিয়ে পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ঝোরারঘাট শাহ্ ছালেক দাখিল মাদ্রাসার সকল শিক/শিকিা এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে ৩ শত টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। শুধু তাই নয়; করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ঐ বিশেষ টিমটি প্রতিষ্ঠানের ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর সকল গৃহবন্দী ছাত্র/ছাত্রীদের মনে আনন্দ দেওয়া এবং পড়া-শুনারও খোজ খবর নেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সুপার আলহাজ্ব আলীরেজা সরকার, বর্তমান মাদ্রাসার সুপার আঃ মোত্তালেব হোসেন, মাদ্রাসার সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল সরকার, পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহকারী শিক মৌলভী হায়দার আলী, শরীল-চর্চা শিক রুহুল আমিন, বি এস সি শিক মাহাবুবার রহমান, অফিস সহ-কারী মোছাঃ ফরিদা আক্তার বানু এবং উপজেলা প্রতিনিধি সৈয়দ রায়হান বিপ্লব সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ । মাদ্রাসার সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল সরকার এ সময় বলেন- আমাদের এই মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীরা করোনা ভাইরাস এর পরিস্থিতি কারণে বাড়ী থেকে বের না হওয়া, সঠিক ভাবে বাড়িতে লেখা পড়া করা, খেলা ধুলা থেকে বিরত থাকা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দেওয়া,পরবর্তি সরকারী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শিা প্রতিষ্ঠানে না আসার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। মূলত: করোনার এই পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন ও গৃহবন্দি হয়ে আছেন। ফলে, অভিভাবকরা বাচ্চাদের মুখে দুবেলা ঠিক মত খাবার দিতে পাচ্ছেনা। এই কথা শোনার পর মাদ্রাসার সম্মানিত সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল সরকার, সুপার আঃ মোতালেব হোসেন এবং সাবেক সুপার আলহাজ্ব আলীরেজা সরকার, দ্রুত বাচ্চাদের বাড়ী গিয়ে খোজ খবর নেন । এলাকাবাসী জানান, বাচ্চাদের অভিভাবক বিপাকে পড়েছে। মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। কিন্তু কী করে ঘরে তুলবে ফসল তা বুঝে উঠতে পারছেনা বাচ্চাদের অভিভাবকরা, কর্মহীন হয়ে পড়া কারণে তারা আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।