বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভার সর্ব বৃহৎ কাঁচা-মরিচ বালুয়া হাটে কৃষকেরা মরিচ বিক্রি করতে আসলে ব্যবসায়ীদের হাতে নানামুখী হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২ ঘটিকার পর্যন্ত এই হাটে কয়েক লক্ষ মণ কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচা মরিচ ক্রয় করতে আসলে হাট ইজারাদারদের সাথে আগে থেকেই চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা মরিচ কিনে থাকেন। এতে করে প্রকৃতি মরিচ চাষীরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে বলে একাধিক মরিচ চাষী অভিযোগ করেছেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০টি ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয় এই কাঁচা-মরিচ। পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মরিচ চাষীরা ভ্যান, রিক্সা, ঘোড়া-গাড়ী, বাই-সাইকেল যোগে কাঁচা মরিচ নিয়ে হাটে আসেন। বৃহষ্পতিবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। মরিচ বিক্রি করে চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক থাকলেও টাকা নেওয়ার সময় একাধিক মরিচ চাষীদের সাথে ব্যবসায়ীরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অনুসন্ধানে ৮ হাজার টাকা প্রতি মণ মূল্য নির্ধারণ করে জোর পূর্বক সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে কৃষকের হাতে। মরিচ চাষীদের হাতে টাকা দেওয়ার আগেই বস্তাবন্দি করে ট্রাকে উঠানো হয়। নিরুপায় হয়ে মরিচ চাষীদেরকে কম টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরতে হয়। এদিকে মরিচ চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লেও হাট ইজারাদারের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করছে, এতে করে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা-ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বালুয়াহাট ইজারাদার গোলাম মোস্তফা জানান, ছোট খাটো ত্রæটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। তবে চাষীদেরকে কম টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মূল্য নির্ধারণ করার পরেও কেন কম দেওয়া হচ্ছে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিব।