বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার : রংপুরের পীরগঞ্জে রামনাথপুর ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৭’শ হেক্টর জমিতে কচুর আবাদে পটাশ সারের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় সফলতা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্পোরেশন (বিসিআইসি) সার ডিলার সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে এমপিও (পটাশ) সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ কচু মৌসুমে জমিতে সার প্রয়োগের সময় ডিলাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মুনাফার আশায় এমপিও সার মজুদ করে। সারের সংকট না থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে খুচরা পাইকারী বিক্রেতারা সার বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন। গুদামে সার জমা রেখে কৃষকদেরকে দেওয়া হয় না। ফলে কৃষকদের মধ্যে সার নিয়ে হাহাকার শুরু হয়। এ সুযোগে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশী দামে সার বিক্রি করে অধিক মুনাফা পেয়ে থাকেন ডিলাররা। শুধুমাত্র রামনাথপুর ইউনিয়নে ৭’শ হেক্টর জমিতে কচু লাগিয়েছেন কৃষকরা। এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দায়িরত্বরত উপ-সহকারী (বিএস)দেরকে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন তারা। অভিযোগকারী রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের মাজু মিয়া, মঞ্জু মিয়া, মিজানুর রহমান, সয়েকপুরের শামিম, সাদেক আলী জানান ৫০ শতক জমির জন্য ২ বস্তা পটাশ সারের প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত জমিতে সার দিতে পারিনি। আরও বলেন বাজার মনিটরিং না থাকায় কৃষকদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে তারা। রামনাথপুর ইউনিয়নের সার ডিলার আইয়ুব আলী জানান, ইউনিয়নে পটাশ সারের প্রয়োজন ৪ হাজার বস্তা। সেখানে সরকারি ভাবে সার বরাদ্দ পেয়েছি বেসরকারি-৮০ বস্তা, বিআরডিসি- ২৭ বস্তা এই নিয়ে মোট ১’শ ৭ বস্তা সার দিয়ে গোটা ইউনিয়নে ছিটে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, বর্তমানে চাহিদামতো এমওপি টিএসসি সারের সংকট থাকায় ইতিমধ্যে বেশী দামে সার বিক্রি করায় মাদারগঞ্জে বিসিআইসি ৩ জন সার ডিলারদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সারের সংকট কেটে যাবে ওই ইউনিয়নে।