শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার: চোরাই এবং হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ভরসা হয়ে উঠেছেন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার এএসআই আলমগীর হোসেন। তিনি পীরগঞ্জে দুই বছরে চাকরীকালীন সময়ে ৫ শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন। যার বাজার মুল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। থানার নিয়মিত মামলার পাশাপাশি প্রতি মাসে গড়ে ২০ টি করে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন বলে জানা গেছে। পীরগঞ্জ থানার এএসআই আলমগীর হোসেন। প্রায় দুই বছর আগে তাকে চোরাই ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য সদ্য বদলী হয়ে যাওয়া পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সরেস চন্দ্র দায়িত্ব দেন। এরপর থেকেই তিনি থানার নিয়মিত পুলিশী কাজকর্মের পাশাপাশি মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আসছেন। অনেকের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে তারা পীরগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। ওই জিডির সুত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের নিয়ে মোবাইল উদ্ধার করেন। এভাবে তিনি ৫ শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করেন। চুরি যাওয়া এক একটি মোবাইল ফোন কমপক্ষে ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এতে গড়ে ১৫ হাজার টাকা করে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার ফেসবুক পেজে প্রতিদিনই খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করার খবর পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোন পেয়ে আনন্দিত হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান মন্ডল মিলন, কুমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সদর ইউনিয়নের কিশোরগাড়ীর সাংবাদিক পারভীন আক্তার, পীরগঞ্জ পৌরসভার সর্দারপাড়ার বাবলু সর্দার, সাবেক সেনাসদস্য আকমল হোসেন, ব্যবসায়ী মানিক চন্দ্র বলেন, আমরা মোবাইলে ফোন পেয়ে খুবই খুশী। কারণ অনেক দামী ফোন হারালে মনের কষ্ট বাড়ে। ফোন পেয়ে ভাল লাগছে। এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, পীরগঞ্জের মাদারগঞ্জ হাট ও পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে চোরাই মোবাইলগুলো বেচাকেনা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত যত চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। তার অধিকাংশই উল্লেখিত ওই দুই হাটে কেনাবেচা দেধা যায়। বর্তমান ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল ফোনের নম্বর কিংবা আই.এম.ই.আই নম্বর দিয়ে জিডি করলে আমরা ফোন উদ্ধার করে দেই। তবে অবশ্যই ফোনটি চালু থাকতে হবে।