শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার : রংপুরের পীরগঞ্জে হোটেল ও রেঁস্তোরা গুলোতে পঁচা-বাসী ও পরাটা, পুড়ি, খুরমাসহ মুখরোচক খাবারে সাল্টু নামক কেমিক্যাল ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে। এসব খাবার খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে হোটেল রেঁস্তোরা গুলোতে জেল জরিমানা না থাকায় অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। জানা গেছে ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ প্রতিটি হোটেল রেঁস্তোরায় দেদারছে পঁচা-বাসী খাবার ও সাল্টু কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেক খাবার ৫/৭ দিন রেখে দেয় হোটেল রেঁস্তোরার মালিকরা। ফ্রিজে জমিয়ে রাখা হয়েছে কয়েক দিনের মাংস যেগুলো প্রায় পঁচে যাচ্ছে। সিঙ্গারা, সামুচা, পিয়াজু, মোগলাই, বারগার, লডুসসহ অনেক দিনের ভাজা পোড়া ও পাম্প ওয়েল তেল। বাসি খাবার কৌশলে আবারও তেলে ভেজে ভোক্তাদের সামনে দেওয়া হয়। অনেক সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে নতুন ভাবে পরিবেশন করে। পীরগঞ্জ পৌর বাজার, থানা মোড়, জামতলা, সোডাপীর, ভেন্ডাবাড়ী, খালাশপীর, কুমেদপুর, কাবিলপুর, গুর্জিপাড়া, মাদারগঞ্জ, মন্ডলের বাজার, জাহাঙ্গীরাবাদ, কাঞ্চন বাজার, শাল্টি বাজার, মাদারহাট, খেজমতপুর, কালসারডারা বাজার ও পীরগঞ্জ বাস ষ্ট্রান্ডের বিভিন্ন হোটেল ও রেঁস্তোরা গুলোতে অতি দাপটের সাথে কৌশলী পঁচা-বাসী খাবার বিক্রি করে থাকে। প্রতিদিন এসব হোটেল রেঁস্তোরার মালিক/ম্যানেজারদের সাথে ভোক্তাদের বাক-বিতন্ডা হয়। বেশির ভাগ সময় হোটেল শ্রমিকদের দিয়ে লাঞ্চিত করা হয় ভোক্তাদের। গ্রাম গঞ্জের হোটেল গুলোতে খাবারের ওপর মাছি ভোঁ-ভোঁ করে। না ঢাকার কারণে খাবারের ওপর সহজেই পড়ে ধুলা-বালি। এসব এলাকার হোটেলের খাবার খেয়ে মানুষ নানারোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ হাসপাতালের ডা: রুহুল আমিন বুলেট জানান, সাল্টু নামক কেমিক্যালটি মানব দেহে প্রবেশ করলে কিডনি, লিভার বিকল এবং পঁচা-বাসী খাবার খাওয়ার ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সারও হতে পারে বলে তিনি জানান। খুব শীঘ্রই পঁচা বাসী খাবার রোধে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।