শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার : নাম- আহাদ আলী, পিতা- মৃতঃ নওয়াব আলী, গ্রাম- লালদিঘী ফতেপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর।একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মধ্য বয়সী মানুষ আহাদ। অসম্ভব মেধার অধিকারী কন্ঠ শ্রমিক আহাদ আলীর (৪৫) ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন রকমে সংসার চলে। সারাদিন প্রচার করে যে আয় হয় তা দিয়েই সংসারের দুই ছেলে মেয়েসহ ৪ সদস্যের পরিবার। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করেন তিনি। যারা তাকে দিয়ে প্রচার করান, তারা একবার প্রচারের কথা গুলো বলে দিলেই অসম্ভব স্মরনশক্তি সম্পন্ন দারাজ কন্ঠ এই মানুষটি সেগুলো মুখস্ত করে নির্ভুলভাবে প্রচার করে থাকেন। বর্তমান ডিজিটাল যুগে রেকর্ডিং এর সাথে তাল মিলিয়ে এই কন্ঠ শ্রমিক এগুতে পারছেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনকনে ঠান্ডা আর মৃদু বাতাস উপেক্ষা করে লাঠি হাতে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সামনে দাড়িয়ে আছেন। জিজ্ঞাস করলাম এতো রাতে এখানে দাড়িয়ে আছে কেন? তার উত্তরে তিনি আমাকে বলল আর দিন যায় না। অন্যের কাছ থেকে ২-৫ টাকা নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে যে আয় হয় তা দিয়ে চাল, ডাল কিনে নিয়ে বাড়ী যাই। দারাজ কন্ঠের অধিকারী ীন দৃষ্টি সম্পন্ন আহাদের প্রশংসায় উপজেলা বাসী পঞ্চমুখ হলেও তাতে আহাদ খুশি নন। তার কথা প্রশংসা দিয়ে কি আর পেট ভরবে নাকি? এমন একজন প্রতিভাবান সম্পন্ন মানুষকে নিয়ে আজ অবধি কেউ কোন দিন ভাবেননি। চমৎকারভাবে কথা বলেন তিনি। কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিা না পেলেও শিতি মানুষের ন্যায় চমৎকার ভঙ্গিতে সকলের সাথে কথা বলেন। ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন। সংসারের অভাবের তাড়নায় কখন যে, সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে তা নিয়ে সঙ্কিত তিনি। ১৯৮৪ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ভরাট কন্ঠে ষ্পষ্টতার সাথে প্রচার করেন। কোনদিন খবরের পাতায় তাকে নিয়ে কেউ কিছু না লিখলেও তাতে তার কোন মাথা ব্যাথা বা রাগ নেই। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজে আহাদ আলীকে নিয়ে তার অসম্ভব প্রতিভার বিকাশে এবং সেই সাথে তার পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা তার।