শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের পীরগঞ্জে হাটের খাস জমিতে নির্মিত ৬ টি দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়ে জমিটি দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোশফাক হোসেন খান চৌধুরী ফুয়াদ। গত সোমবার উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের ওই চেয়ারম্যান রসুলপুর হাটের ওই ৩ শতক জমি দখলে নেন। ওই ঘটনায় তিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যদর্শী ও তিগ্রস্তের সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০ বছর আগে উপজেলার মরারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন (৭০) রসুলপুরহাটের মধ্যে ৮৫১ দাগে ৩ শতক জমির উপর ইট দিয়ে ৬ টি দোকান নির্মাণ করেন নিজে ব্যবসা এবং ভাড়া দেন। জমিটি রসুলপুরের মোহাম্মদ হোসেন খান চৌধুরীর হলেও তার ১’শ বিঘার উপর জমি থাকায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ৯৮/৭২ মতাবলে সরকার জমিটি ১ং খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার পর জমিটি হাটপ্লটে নেয়া হয়। জমিটি খাস খতিয়ানে অন্তুর্ভুক্ত হলেও মোহাম্মদ হোসেন খানের ছেলে কুমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোশফাক হোসেন খান চৌধুরী ফুয়াদ জমিটির দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়ে দখলে নেন। সেইসাথে জমিতে চেয়ারম্যান তার নামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। পাশাপাশি তিনি কুমেদপুর ইউনিয়ন উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) কে ম্যানেজ করে খাজনাও দেন। অপরদিকে জমিটি লীজ নেয়ার জন্য তিগ্রস্থ আফজাল হোসেন রংপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিগ্রস্থ আফজাল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের বাবার জমি হলেও তাদের ১’শ বিঘার উপরে জমি থাকায় হাটের ৩ শতক জমি খাস খতিয়ানে গেছে। আমি ওই জমিতে প্রায় ৫০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। আর চেয়ারম্যান সোমবার দিনের বেলা লোকজন সাথে নিয়ে এসে আমার দোকানগুলোে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে মামলামাল লুট করে নিয়ে গেছে। চেয়ারম্যান ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, জমিটি আমাদের ছিল। খাজনাও দিয়েছি। জমিটিতে কয়েকটি দোকান ছিল। তাদেরকে দোকান তুলে নিতে একদিনের নোটিশ দিয়েছি। তারা না শোনায় আমি দোকানগুলো ভেঙ্গে দিয়েছি।