বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
তোদের! আমার গায়ে পেরেক মারিস না। তোদের পেরেকের আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত আমি। একটার পর একটা। পাঁচ ফোড়ন, আট ফোড়ন, দশ ফোড়নের হাতুড়ির বাড়িতে- কষ্টের জমাট বাঁধা রস গুলোকে ঝড়িয়ে দিস। আমি কি তোদের বাবার সম্পত্তি। সাবধান! আমার গায়ে পেরেক ঠুকাবিনা না। পাবলিসিটি করতে হয় তোর নিজের শরীরে ঠুকিয়ে দে। আমি কি তোর ব্যবসাখানার বিলবোর্ডের খাম্বা, নাকি সাইনবোর্ডের স্ট্যান্ড? একজন করে আসবি আর- একটার সাথে আরেকটা লাগিয়ে প্রচার কার্য চালাবি। খবরদার! আমার গায়ে আর পোস্টার ঝোলাবি না। ঝোলাতে হলে তোর প্রতিষ্ঠানের সামনে ঝুলিয়ে দে। বাহ্! কী দারুণ তোদের পেরেক মারার খেলা। শেকড় থেকে কাণ্ড পর্যন্ত, শাখা থেকে প্রশাখা অব্দি হরেক রকমের পেরেক। তোদের স্বভাব দেখে মনে হয় যেন- তোদের এমন পাবলিসিটির জন্যই আমার জন্ম। ভাবছিস আমি অব্যক্ত, নিথর, নিষ্প্রাণ, তাই না? জগদীশ বসু যখন তোদের মানুষ করতে পারিনি- তখন বুঝব তোরা মানুষ হয়েও অমানুষ? মনে রাখিস, আমি যদি বিগড়ে যাই- তোদের অস্তিত্ব রাখব না। কারণটা কি জানিস? আমি অক্সিজেনের কারখানা যেটা তোরা প্রতি সেকেন্ডে দু-একবার নিস। এটা সৃষ্টিকর্তার দেয়া আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি শেষ তো ওটাও শেষ। আর ওটা শেষ তো তোরাও শেষ। বিধায় সাবধান! আমাকে মারার আগে নিজের মরণটার কথা অন্তত: একবার ভেবে দেখিস।