শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
আব্দুল করিম সরকারঃ নদী মাতৃক বাংলাদেশে নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক বড় আতঙ্কের নাম ভাঙন৷ অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এই ভাঙনে৷ কেউ হারিয়েছেন পরিবার, কেউ জীবিকা৷ সম্প্রতি কয়েক দিন আগে আগে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে সবার চোখের সামনে তিন তলা নীল একটি ভবন পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এরপরেও আমরা কতটুকু সতর্কতা অবলম্বন করছি না। এদিকে রংপুরের পীরগঞ্জে নদী ভাঙ্গন ও খননের ফলে বিলীন হতে চলেছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বালুয়া হাট বন্দরে, বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় ভবনের একেবারে কাছে চলে এসেছে নদী। এরই মধ্যে ভবন সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গা নদী গর্ভে বিলীনের পথে । জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আখিরা নদী ঘেষেই গড়ে ওঠে বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়। পীরগঞ্জ উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের বালুয়া আখিরা নদীর কাছে বিদ্যালয়টির অবস্থান। এক সময় নদী অনেকটা দূরে থাকলেও ভাঙনের কারনে এখন বিদ্যালয়ের একেবারেই কাছে। এরই মধ্যে নদীর পানি এই ভবন ছুঁই ছুঁই করছে। ওই বিদ্যালয়ের মাঠের একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে আগেই। যে কোন সময় ভাঙতে পারে মূল ভবনও। অথচ এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। শিক্ষার আলো ছড়াতে বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভূমিকা রেখেছে শুরু থেকেই। অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষা দানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র- ছাত্রী ২’শ ৫০ জন। বিগত বছর ৫২ জন জেএসসি পরীাক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ০৫ জন এ প্লাস পেয়েছে। এসএসসিতে ৩১ জন অংশগ্রহন করে ৩০ জন কৃতকার্য হয়। তাই ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠটির ভবন রক্ষায় বড় কোন উদ্যোগের দাবি স্থানীয়দের। বিদ্যালয়টি রক্ষায় এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সরকার জানান, বিদ্যালয় ভবন নদী গর্ভে বিলীনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাবেক সাংসদ ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মন্ডল জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে অবগত করেছে, তবে বরাদ্দ আসলে খুব শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানটি সংস্কারের কাজ করা হবে।