শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদত্যাগ দাবিতে রাজপথে নেমেছেন শিল্পীরা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন অভিনয় শিল্পীর ভোটধিকার অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান- এমন অভিযোগে তাদের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা।
রোববার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টায় এফডিসির মূল গেটের সামনে ১৮৪ জন শিল্পী এই মানববন্ধনে অংশ নেন। সেই সঙ্গে কণ্ঠে আওয়াজ তোলেন- ‘যে নেতা শিল্পীদের সম্মান করে না, তাকে আমরা চাই না।’ পাশাপাশি ভোটাধিকার ফেরত দেওয়ার দাবিও তোলেন তারা।
মিশা-জায়েদের পদত্যাগ চেয়ে তারা বলেন, মিশা যায় ক্ষমতায় আসার আগে কখনোই এফডিসিতে এতো গণ্ডগোল ছিল না। তারা আমাদের সদস্য পদ বাতিল করে এফডিসি থেকে অপমান অপদস্থ করে বের করে দিয়েছেন। অথচ ২৫ বছর ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছি আগে এমন খারাপ অবস্থা কখনো দেখিনি।
তারা ক্ষমতা ছাড়লেই এফডিসিতে আবার শিল্পীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে বলে দাবি তাদের। বিশেষ করে জায়েদ খান শিল্পী সমিতিকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছেন বলেও তাদের অভিযোগ।
অসংখ্য সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে সদস্যপদ হারানো জামাল পাটোয়ারি বলেন, জায়েদ খান শিল্পী সমিতিকে ব্যবহার করছিল। প্রতিবাদ করার আমার সদস্যপদ বাতিল করে। এছাড়া মিথ্যে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে আমার নামে মামলা করে। ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমার এফডিসির গেটে ঢোকা বন্ধ করে দেয়।
তিনি বলেন, জায়েদ খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন দিয়ে মানুষকে অপদস্থ করে যাচ্ছে। সমিতিতে থাকলে সংগঠনটির সম্মান দিনে দিনে ক্ষুণ্ণ হবে। তাই মিশা সওদাগর তাকে সমর্থন দেয়ায় তাদের দুজনের পদত্যাগ চাই। সেইসঙ্গে আমরা হারানো সদস্যপদ ফিরে পেতে চাই।
শাকিব খান-অমিত হাসান ক্ষমতায় থাকার সময় সদস্যপদ পেয়েছিলেন শান আরাফ। সমিতির উন্নয়নের জন্য তিনিসহ কয়েক জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নিয়ে সকলের সম্মতিতে বিশেষ বিবেচনায় সদস্য করা হয়েছিল। শানের অভিযোগ শুধুমাত্র শাকিব-অমিত সদস্যপদ দেয়া তার সদস্যপদ বাতিল করেছে জায়েদ খান।
শান বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জায়েদ খান আমার সদস্যপদ বাতিল করেছে। শাকিব অমিত হাসান যাদের সদস্যপদ দিয়েছেন, আমার মত অনেকেই একই কাজ করেছেন জায়েদ খান। এটা পুরোপুরি অন্যায়। ফারুক সাহেব রোজিনা ম্যাডাম বলার পরেও জায়েদ খান তাদের কথা শোনেনি। সবসময় স্বেচ্ছাচারীভাবে কাজ করেছেন। তাই পুনরায় সদস্য পদ ফিরে পেতে চাই এবং মিশা জায়েদের পদত্যাগ চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ সালের শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান নির্বাচিত হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮১ জনের ভোটাধিকার বাতিল করে কেবল সহযোগী সদস্য করা হয়েছে। এরপর নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে ভোটার করা হয়।
সম্প্রতি, ‘চলচ্চিত্রবিরোধী’ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিশা-জায়েদেকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠন।