রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বেধে দেওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সমাপ্ত হয়নি পীরগঞ্জে নুনদহ ও জয়ন্তীপুর সেতুর নির্মাণ কাজ। ফলে বাস্তবায়নাধীন মেঘা প্রকল্পের ৬ লক্ষ সুফলভোগী ভোগান্তিক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে। বিগত ২০১৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার পশ্চিমে সীমান্ত ঘেষা করতোয়া নদীতে টুকুরিয়া ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সেতু এবং চতরা ইউনিয়নের নুনদহ ঘাটে দুটি সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রæতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্পের আওতায় বর্ণিত স্থানে দুটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৯ সালে ২২শে ফেব্রæয়ারী পীরগঞ্জ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড: শিরিন শারমিন চৌধুরী সেতু দুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ৯১৫ দিনে সমাপ্তির মেয়াদকাল থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে নুনদহ ঘাটে ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ও জয়ন্তীপুর ঘাটে ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্প স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তদারকি করছেন। ৩০১ মিটার দৈর্ঘ্য ৯.৮ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মাণের জন্য পিপিএলকিউসিজেডি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু দুটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েই ৭৬টি পাইল, ২৮ টি গার্ডার ও ৭ টি স্পান হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিরামহীনভাবে কাজ চলে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই গতি হারিয়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পীরগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঝে সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়ে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর থেকে পন্য পরিবহন, ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি পণ্য যাতায়াতের সুবিধাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন সহ সেতুর দুই পাড়ের ৬ লক্ষ লোকের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। ২০২০ সালে ৯ই ফেব্রæয়ারী নুনদহ ঘাটের সেতুটি প্রথম স্পামের কাজ দৃশ্যমান হলেও বর্তমানে সেতু দুটি নির্মানে চুড়ান্ত সময় চলে গেলেও প্রায় স্থবির নির্মাণ কাজ। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তের নিকট থেকে জানা যায় জয়ন্তীপুর সেতুটি ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এবং নুনদহ সেতুটি ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল হক এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজটি সম্পন্ন করা যাবে না । তবে আমি সার্বক্ষণিক চেষ্টা করব দ্রæততম সময়ের মধ্যে সেতু দুটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান সাহেবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ না করেই সংয়োগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।