সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: বিশ্বরোডকে চারলেনে উন্নতি করার লক্ষ্যে রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে টুকুরিয়া, আলমপুর, চতরা ও কাবিলপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৭ গ্রাম পীরগঞ্জের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। এ বিষয়ে দৈনিক যুগের আলোসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সরে জমিনে বুধবার বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করে দেখা গেছে বৃষ্টির কারণে টুকুরিয়া ইউনিয়নের মোনাইল মোড়ে প্রায় ৪০ টি দশ চাকার ড্রাম ট্রাক বন্ধ করে রাখা হয়েছে । মোনাইল মোড় থেকে বিছনা গ্রাম পর্যন্ত ভ্যান মোটরসাইকেল এমনকি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আশা বন্ধ করে দিয়েছে । তরফ মৌজা গ্রামের দিঘির পাড় গ্রামের লোকজনের অবস্থা খুবই খারাপ। তরফ মৌজা দক্ষিণ পাড়ায় বালু উত্তোলন করে পরিবহনের সময় রাস্তাটি বিলিন হয়ে যাওয়ার ফলে উজানে কয়েক শত বিঘা জমির বোরো পাকা ধান কৃষকেরা কাটতে পারছে না রাস্তা না থাকার কারণে ।স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল ব্যক্তিগত ভাবে টাকা উত্তোলন করে ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা মেরামত করছি। শুধু জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়ে আশার জন্য। এদিকে পীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুর জয়ন্তিপুর রাস্তা সিলগালা করে দেওয়ার উপক্রম । এই রাস্তার প্রায় তিন শতাধিক বিভিন্ন প্রকার গাছ মরে যাওয়ার পথে । সুজারকুটি ডঃ ওয়াজেদ মিয়া সেতুর পার্শে বালু উত্তোলনের ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গার্ডার এবং স্বপ্নের সেতু হুমকির সম্মুখীন ।ইউনিয়নের মোনাইল গ্রামে সব চেয়ে বড় বালু উত্তোলনের পয়েন্ট একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কে কে বালু উত্তোলন করছে নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস নেই কেননা বালু সিন্ডিকেট খুবই ক্ষমতাধর । এছাড়াও আলমপুর ও চতরা কাবিলপুর ইউনিয়নে প্রায় দেড় ডজন স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে মিঠাপুকুর উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে । এছাড়াও মোনাইল মোড়ে প্রায় ২০ জন দশচাকার চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বালু নিয়ে মিঠাপুকুর উপজেলায় রাস্তায় ফেলে আসছে । এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দশচাকার ড্রাম ট্রাক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, কৃষকের ফসল (ধান), নিয়ে আশার জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবৈধ বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।