সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে জন্মগত রাস্তা ভুলে যেতে বসেছে টুকুরিয়া ইউনিয়নের নদীপাড়ের মানুষগুলো। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু সিন্ডিকেন্ট গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করায় রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিক খবর প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের কোন টনক নড়ছে না। সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মোনাইল দুর্গাপুর বিছনা করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। গ্রাম গুলো হচ্ছে- মোনাইল দক্ষিণ দুর্গাপুর, বিছনা, ভিটাপাড়া, সুজারকুঠি, বোয়ালমারী। বিকল্প রাস্তা হিসেবে ছাতুয়া দিয়ে ৩ কি: মি: রাস্তা ৬ কি: মি: পথ পেরিয়ে বর্ণিত গ্রাম গুলোতে যেতে হয়। করতোয়া নদী ঘেঁষা বিছনায় বালু উত্তোলন করে আসছেন পীরগঞ্জের ১২নং মিঠিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী স্থানীয় এক সচিবের দোহাই দিয়ে জাফরপাড়া গ্রামের মৃত: আজিজার রহমান ওরফে আজিজের পুত্র আরিফ মিয়া, মোনাইল গ্রামের খাদেমুল ইসলামের পুত্র আশরাফুল ইসলাম, গোপীনাথপুর গ্রামের দুখু মিয়ার পুত্র পারভেজ আলম, জাপা নেতা নূরে আলম মিয়া যাদু, জয়ন্তীপুরের ফজলু, মোকতারুলসহ একাধিক বালু ব্যবসায়ী বালু উত্তোলন করে আসছেন। অপরদিকে সোনার চেয়ে দামী এই বালু ব্যবসার উপজেলার একাধিক নেতা জড়িত রয়েছে। এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। সম্প্রতি পীরগঞ্জে ২৩দিন বন্ধ থাকলেও ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক পরিবহণগুলো অবৈধভাবে প্রশাসনের গোপন চুক্তির মাধ্যমে গ্রামীন রাস্তাগুলো বেহাল দশা করে ফোরলেন দোহাই দিয়ে পীরগঞ্জের লালদিঘীর রাস্তার আন্ডারপাস এর নামে সোনার চেয়ে দামি বালু রংপুরের দমদমায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ভাবে বালু পরিবহন করলে করতোয়া নদী ঘেঁষা ইউনিয়ন গুলো মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে নদীগর্ভে চলে যাবে। এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।