সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার : নানা সমস্যা, জনবলের কমতি, চোরাকারবারি ও অবৈধ দখলদারের দৌড়াত্ব সহ নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে রংপুরের পীরগঞ্জ বনবীটসহ আরও ৬টি বনবীট। ১৯৫৬ সালে রংপুরের মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে ৩ হাজার ৪৫ একর জমিতে সৃষ্টি করা হয় এই বনাঞ্চল। এর মধ্যে মিঠাপুকুর সদর রেঞ্জ, শাল্টি গোপালপুর, ইকোপার্ক নামে পরিচিত ৪৮ একর জমিতে রয়েছে শাল ও রাবার বাগান অন্যান্য গুলো তে রয়েছে সামাজিক বনায়ন। সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির ৪৫% স্থানীয় উপভোগকারী, সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ৪৫% এবং বাকী ১০ শতাংশ পরবর্তী গাছ রোপনের জন্য মজুদ রাখা হয়। পীরগঞ্জের ঝাড়বিশলা, কাদিরাবাদ, মিঠাপুকুরের শাল্টি গোপালপুর সদর, লোহানীপাড়া, হেলেঞ্চা ও পার্বতীপুরের খোড়াগাছ বীট অফিস নিয়ে গঠন করা হয় বন বিভাগের মিঠাপুকুর বন রেঞ্জ। জনবল দুরে থাক ৬৬ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি ৬ বন বীটে এমনকি অফিসগুলোতেও। ফলে মান্ধাতার আমলে গড়া মাটির ঘরেই অফিস করছেন অনেকে। জনবল সংকটের কারনে গাছ চুরি সহ প্রায় ৫’শ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে অবৈধ দখলদারদের হাতে। বিশেষ করে চৈত্রকোল ইউনিয়নের ঝাড়বিশলা বীটে দানিশনগর, কাদিরাবাদ বীটে ভূমি দুস্যদের দখলে সিংহভাগ বন বিভাগের জমি। ক্রমশঃই ছোট হয়ে আসছে মিঠাপুকুর বন রেঞ্জর সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এ সংক্রান্তে মামলাও রয়েছে অর্ধ শতাধিক। ৬ জন বীট কর্মকর্তার কথা থাকলেও ৩ জন দিয়ে ৬ বনবীট পরিচালিত। ১২ জন বন প্রহরীর স্থলে ৪ জন বন প্রহরী বাগান মালি ৬ জন দিয়ে চলছে ৬টি বীট অফিস। ফলে বীট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে অনেককেই। এ অব্যস্থায় প্রায়ই বন দস্যুদের কবলে পড়ছে তারা। যা দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে ঝাড়বিশলা বীট কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমিন জানান বীট কর্মকর্তা সংকট থাকায় ৩ জনকে ৬টি অফিস চালাতে হয়। রুম গুলো ১ জন কর্মকর্তা হিসেবে ঝুপড়ি ঘর গুলোতে থাকা একেবারই অনুপযোগী। অফিস গুলোর এমন অবস্থা যেকোন সময় দেয়াল ধ্বসে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। মিঠাপুকুর রেঞ্জ কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, উর্দ্ধতন পর্যায়ে কয়েকবার এ ব্যাপারে আবেদন দিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্লেখ্য পরিবেশ রক্ষাসহ দেশের সম্পদ রক্ষায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।