মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
আব্দুল করিম সরকার: রংপুরের পীরগঞ্জে চটকদার খাবারের সাথে সস খাওয়াটা এখন ফ্যাশন। সাধারণ হোটেল থেকে শুরু করে চায়নিজ-ফাস্টফুডের টেবিলে সাজানোই থাকে সস। নামী-দামী লেবেলের এসব সস ইচ্ছে মত খেলেও কোন পয়সা লাগেনা কেন? দামে সস্তা হওয়াটাই কি এর মুল কারণ কিন্তু আসল টমেটো বা তেঁতুলের সসের দাম মোটেই সস্তা নয়, সুত্র মতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল সস তৈরী করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। আর ফ্রি সস পরিবেশন করা এসব প্রতিষ্ঠান জেনে অথবা না জেনে বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারীভাবে সংগ্রহ করছে এসব সস। সস্তা এসব সসের মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, টমেটো বা তেঁতুলের সস বলে আমরা যা খাচ্ছি তাতে টমেটো বা তেঁতুলের উপস্থিতি নেই আছে ময়দা আর নানা কেমিক্যালের সমাহার। সস টক বানানোর জন্য ব্যবহার হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিকর সিট্রিক এসিড যুক্ত হচ্ছে তেঁতুল ও টমেটোর ফ্লেভার। এছাড়া রয়েছে সোডিয়াম বেনজোয়েট, এমপিএস, স্যাকারিন ও রঙের মতো ক্ষতিকর উপাদান। পীরগঞ্জ বন্দরে দোকানী জানান, প্রাণ, বসুন্ধরা গ্রæপসহ ১৫টি থেকে ২০টি কোম্পানী বারবিকিউ সস, ডিসকভারী প্রোডাক্ট, চিলি সস, লাল মরিচের সস (স্কয়ার গ্রæপ সস, টমেটো সস) ইত্যাদি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারিগররা জানান, ২০ কেজি ময়দা থেকে তৈরী করা হয় শতাধিক কেজি সস। ময়দার সাথে মেশানো হয় পানি, বার্লি, সআর্চ (অ্যারারুট-জাতীয়)। পচনরোধে ব্যবহার হয় এমপিএস বা ফরমালিন। ব্যবহার হয় এমপিএস বা ফরমালিন। ঝাঁঝের জন্য মরিচ গুড়া, টক স্বাদের জন্য সিট্রিক এসিড, মিষ্টি করার জন্য চায়নার দানাদার স্যাকারিন। উন্নত স্বাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে সোডিয়াম বেনজোয়েট ও টেস্টি সল্ট অন্যতম। নামকরা চায়নিজ-ফাস্টফুডের হোটেল মালিক জানান আমরা হোটেল গুলোতে সস ব্যবহার করি। কিন্তু সস উপাদান সম্পর্কে কিছু জানি না। তবে সস দেয়া হয়, তার দাম ধরা হয় না। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন বুলেট জানান, এ সব কেমিক্যালের কারণে লিভার ও কিডনিতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।