গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের ঐতিয্যবাহি রাজাবিরাট কাঠ মেলার নামে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।
শ্রী শ্রী মদন মহন জিউ বিগ্রহ এর বিরাট হাট বাজার ও মেলা লক্ষ লক্ষ টাকা চুক্তির মাধ্যমে লীজ প্রদান
হিসাবের খাতায় গলদ সৃষ্টি করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বনে সেবায়েব !
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে জানা গেছে, বৈশাখী- জৈষ্ট মেলার প্রতিটি কাঠ ফার্নিচারের দোকানে প্রতি ফুট ২৫০ টাকা জমা। তাহলে একটি দোকান যদি ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য হলে খাজনা হয় ৭৫০০ টাকা। এভাবেই যদি ৫০ টি কাঠ ফার্নচারের দোকান থাকে তাহলে টাকা দ্বাড়ায় ৩,৭৫,০০০/= টাকা। অপর দিকে মেলায় আগত ভোক্তাদের নিকট থেকে প্রতি খাট,শোকেজ, আলনা, ড্রেসিং টেবিল, সোফা সেট থেকে প্রতিটিরমূল্য ১০-১৫ % হারে বিনা রশিদে মনগড়া টোল আদায় করা হচ্ছে।
• উপস্থিত ভোক্তা গণ জানান – একটা খাটের দাম যদি ৭০০০/=- ১০,০০০/= টাকা হয় সেখানে খাজনা নেওয়া হচ্ছে গড়ে ৫০০/= থেকে ১০০০/= টাকা । মেলাটি বিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও বিরাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবৈধ ভাবে অবস্থিত।
এ ব্যপারে কথিত মেলা ইজারাদার সম্ভু মেম্বার মুঠোফোনে এই প্রতিনিধিকে জানায়–আমরা মেলার অর্ধেক অংশ এবং বিরাট মেলার কাপরের দোকানদার আওয়ামী লীগ নেতা বাছেদ অর্ধেক অংশ। এব্যপারে বাছেদের সঙ্গে কথা বল্লে -তিনি জানান, রাজা বিরাট হাট ও বাজার, মেলার তিনি ইজারাদার।
কিন্তু রাজনৈতিক চাপে তিনি( বাছেদ) বাধ্য হয়ে সম্ভুগং কে মেলার অর্ধেক অংশ ছেড়ে দিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মেলার মাঠ ভাড়া বাবদ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৫০,০০০/= টাকা দিতে হয়।এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করার চেষ্ঠা করলে তাদের পাওয়া যায় নি। তিনি আরও বলেন, শ্রী শ্রী মদন মহন জিউ বিগ্রহ এর সেবায়েত শ্রী দীলিপ চক্রবর্তী , রাজা বিরাট হাট ও বাজার এর মালিক। তিনি প্রতি বছর বিরাট হাট বাজার ও মেলা লক্ষ লক্ষ টাকা চুক্তির মাধ্যমে লীজ প্রদান করছেন। এব্যপারে লীজ প্রদানকারি ও সেবায়েত দীলিপ চক্রবর্তীকে মুঠোফোনে বিরাট হাট-বাজার, এবং মেলার লীজ প্রদানের বাৎসরিক কত টাকা লীজ প্রদান করেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয় টি এরিয়ে যান এবং অস্বীকার করে বলেন, সব কিছু বাছেদ জানেন।আমি তথ্য দিতে পারিব না।কোথায় আছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি (দীলিপ চক্রবর্তী) গোবিন্দগঞ্জে বাসায় আছি। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে আসেন।
কিন্তু হাট- বাজার এবং মেলার কোন অফিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ষ্ট্রেট/ শ্রী শ্রী মদন মহন জিউ বিগ্রহ এর অনুকুলে কোন ব্যাংক হিসাব আছে কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ব্যাংক একাউন্ট খোলা নেই। আমাদের বিরাটে অফিস আছে খোঁজ নেন। শ্রী শ্রী মদন মহন জিউ বিগ্রহ অফিস দেখা গেলেও এলাকা বাসী জানায়, বছরের পর বছর এই অফিস খোলা হয় নি, তারা আরও জানান বিরাট হাট বাজার ও মেলা থেকে প্রতি বছর প্রায় চল্লিশ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন কিন্তু কোন প্রকার সেবা মুলক কাজ না করে গোবিন্দগঞ্জ শহরে বহুতল বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণ কাজে ব্যয় করছেন। এই শ্রী শ্রী মদন মহন জিউ বিগ্রহ এর অধীনে মার্কেট, হাট- বাজার, মেলা, দীঘি সহ সকল আয়ের উৎস থেকে আদায়কৃত অর্থ যথাযথ ভাবে বন্টনের দাবি উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের দাবি লুটপাট বন্ধ করে সচ্ছ ও জবাব দিহি সেবায়েত নিয়োগে প্রশাসনিক জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।